বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২টি ছাড়া সব দেশে ফ্লাইট চালু

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ১১:২৮

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ মে থেকে বর্তমানে অতিঝুঁকিপুর্ণ বিবেচিত দেশ ছাড়া বিশেষ শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক কমার্শিয়াল ফ্লাইট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৩৮টি দেশে চলাচলের ওপর বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১২ দেশের সঙ্গে সাময়িকভাবে আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

১৬ দিন বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শনিবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাটি।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১২ দেশের সঙ্গে সাময়িকভাবে আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ মে থেকে বর্তমানে অতিঝুঁকিপুর্ণ বিবেচিত দেশ ছাড়া বিশেষ শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক কমার্শিয়াল ফ্লাইট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিবেচনায় ৩৮টি দেশে চলাচলের ওপর বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এর ফলে এয়ার বাবল ফ্লাইটগুলো স্থগিত থাকবে। এ ছাড়াও অতি ঝুঁকিপুর্ণ দেশসমূহের সঙ্গে সাময়িক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই দুই তালিকার বাহিরে থাকা দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন সাপেক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন কঠোরভাবে পালনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকলেও সেখান থেকে আগতদের ৩ দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

অতিঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশ

বেবিচকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১২টি দেশকে অতিঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে সাময়িকভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সব দেশ থেকে শুধু প্রবাসী ও বাংলাদেশি নাগরিকরাই ঢাকায় আসতে পারবে। এ দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারীরা আপাতত বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি পাবে না।

তবে এ ক্ষেত্রে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের শর্ত পূরণ করতে হবে তাদের। এ ক্ষেত্রে আসতে আগ্রহীদের আগে থেকেই সরকার মনোনীত হোটেলে বুকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অতিঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ১২ দেশ হলো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া।

এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে ২৬টি দেশের নাম। এ সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

দেশগুলো হলো অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়েনিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।

এই দুই তালিকার বাহিরে থাকা দেশগুলো থেকে স্বাভাবিকভাবেই দেশে যাওয়া আসা করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টিন মানতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বিদেশগামী ও বিদেশ থেকে আসা উড়োজাহাজে এক সঙ্গে কত যাত্রী পরিবহন করা যাবে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে বেবিচক। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যম আকার বা ন্যারো বডি উড়োজাহাজে যাত্রী ধারণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

সুপরিসর বা ওয়াইড বডি উড়োজাহাজে এক সঙ্গে সর্বোচ্চ ২৮০ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। তবে বোয়িং ট্রিপল সেভেন বা সেভেন ফোর সেভেন উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৩৫০ জন।

ঢাকামুখী মধ্যম আকার বা ন্যারো বডি উড়োজাহাজে পরিবহন করা যাবে সর্বোচ্চ ১৪০ যাত্রী। সুপরিসর বা ওয়াইড বডি উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০০।

দুই ক্ষেত্রেই মধ্যম আকার বা ন্যারো বডি ও সুপরিসর বা ওয়াইড বডি উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি এবং বিজনেস ক্লাসে একটি আসন সম্ভাব্য কোভিড যাত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার শুরুতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। তখন আন্তজেলা পরিবহনের মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।

এ প্রেক্ষাপটে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলার কথা থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত।

কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকেই বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট। তবে চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। অবশ্য পরে প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আটটি দেশে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দেয় সরকার। আর ২১ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।

এ বিভাগের আরো খবর