বিধিনিষেধের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে যশোর। যাত্রীদের পাঠানো হচ্ছে অন্য জেলায়।
যশোর সদর ও বেনাপোলের ২৯টি আবাসিক হোটেল ও ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদ্রাসায় ভারতফেরত করোনা নেগেটিভদের রাখা হচ্ছিল।
শুক্রবার দুপুরের মধ্যে সব জায়গা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি জরুরি সভা করে।
ওই সভায় দুই শতাধিক ভারতফেরত যাত্রীকে যশোরের পার্শ্ববর্তী চারটি জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতে তাদের খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলে পাঠানো হয়।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটির সুপারিশে গত সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত। তবে যারা চিকিৎসা বা অন্য কাজে গিয়ে ভারতে আটকা পড়েছে, তাদের দেশে ফেরার সুযোগও দেয়া হয়।
ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যশোরে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে জানা যায়, ভারতে আটকে পড়া ১ হাজার ২০০ যাত্রী দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। শুক্রবার ফিরেছেন ৭৫ জন।
এ নিয়ে পাঁচ দিনে বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরেছেন ৭৭১ জন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ১৫ জন। তাদের রাখা হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে।
যশোরের ডিসি ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক তমিজুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারত থেকে যতসংখ্যক পাসপোর্টধারী যাত্রী ফেরত আসার কথা আমরা চিন্তা করছিলাম তার থেকে অনেক বেশি লোকজন আসছে। এখন আর এখানে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার জানান, যেখানে যাত্রীদের রাখা হয়েছে, সেখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে করোনা নেগেটিভ সনদ পেলে যাত্রীদের বাড়িতে যেতে দেয়া হবে।