ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা হলে শ্রমিকের মজুরি-সমস্যা দূর হবে বলে দাবি করেছে ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
মহান মে দিবসে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফ আলী আকন ও সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, তখন কাজের সময় নির্ধারিত থাকবে, কাজের প্রকৃতি বা ধরনও নির্ধারণ থাকবে।
‘কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের স্থানান্তর গমনের অধিকার থাকবে, লাভের অংশীদারত্ব থাকবে, স্বাস্থ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ, বাসস্থানের অধিকার থাকবে।
‘কর্মক্ষেত্রে ক্ষতির দায়িত্ব থেকে শ্রমিকরা মুক্তি পাবে, চাকরির নিরাপত্তা পাবে, দাবিদাওয়া পেশের অধিকার পাবে, বৃদ্ধ বা অসুস্থকালীন ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা-বিধান, কারখানায় কাজ করাকালীন দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিক মারা গেলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার পাবে।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি অভিযোগ করে এর সমালোচনাও করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘ন্যায্য দাবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দেয়ার মতো ঘটনা যেমন ঘটেছে, তেমনি জীবনযাত্রার ব্যয় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধির পরেও দেশের চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে।'
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশে দুর্নীতি দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় একশ্রেণির লুটেরার দল আঙুল ফুলে বটগাছ হচ্ছে। অপরদিকে আল্লাহর বন্ধু নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমিকরা অমানুষিক পরিশ্রম করে ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
এতে বলা হয়, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন শ্রমিক হত্যা, শ্রমিক অধিকার হরণ ও কলকারখানায় মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ চায় না। ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন চায় মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, উৎপাদন বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক, উৎপাদন, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার কথাও জানিয়েছে ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন।