কারখানার শ্রমিকদের যাওয়া-আসায় ব্যবহার করা হচ্ছে বাস। দিনের বেলায় শ্রমিকদের সেই বাস চলাচল করলেও নেই কোনো শ্রমিক। তারা সবাই সাধারণ যাত্রী।
মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি আসনে বসেই চলছে যাতায়াত। অনেকের মুখে আবার নেই মাস্ক। তবে পুলিশ বলছে, চোখে পড়লেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ট্রাফিক বক্সের পূর্ব পাশে শুভযাত্রা স্বপ্ন পরিবহনের কয়েকটি মিনিবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মানুষ দেখা মাত্রই ডাকাডাকি করছেন চালক ও সহকারী। তুলছেন গোলড়া, নয়াডিঙ্গি, কালামপুর ও ধামরাই এলাকার যাত্রী।
শুভযাত্রা পরিবহনের চালক চুন্নু মিয়া বলেন, ‘সকালে মানিকগঞ্জ থেকে গার্মেনের (গার্মেন্টসের) শ্রমিকদের নিয়া রাইজিং কারখানায় যাই। ছুটির পর বিকালে মানিকগঞ্জে নিয়া আছি। তাগো নামায়া যাওয়ার সময় কিছু যাত্রী নিয়া যাই। খালি গাড়ি যাওনের চায়া কিছু যাত্রী নিয়া গেলে কিছু টাকা আয় হয়।’
বিকেল বেলায় রাস্তায় পুলিশ না থাকায় তেমন সমস্যা হয় না বলে জানান এই চালক।
স্বপ্ন পরিবহনের চালক সোহেল রানা বলেন, ‘লকডাউনের মইদ্যে তো চালাইতে পারি না। খালি গার্মেন শ্রমিকদের আনা-নেয়া করি। সুযোগ পাইলে নয়াডিঙ্গি থেইক্যা মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত নেই। পুলিশ দেখলে বুঝে গার্মেনের টিরিপ মারি। তারা তো আর যাত্রী গো জিজ্ঞাসা করে না। হের লাইগ্যা সমস্যা অয় না।’
শুভযাত্রা পরিবহনের হেলপার সেলিম মিয়া বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক গাড়ি বন্দ। আমরা যারা কারখানার টিরিপ মারি তারাই চলতে পারতেছি। যাওয়া আসার সময় যাত্রী ওডাই। হাতে কয়ডা টাকা আসে। যাত্রীগোও উপকার অয়। হেগো কিছু টাকা বাঁচে। অন্য গাড়িতে গেলে তো ভাড়া লাগব অনেক বেশি।’
বাসে প্রতি আসনে যাত্রী তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে এক চালক নিজেদের দায় যাত্রীদের ওপর ঠেলে দিয়ে বলেন, ‘তাগো তো কিছু কইতে পারি না। তবে প্রশাসনের লোকজনকে দেখলে সবাই সতর্ক হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে কারখানার শ্রমিকদের যাওয়া-আসার জন্য কারখানার কিছু বাস চলাচল করে। তবে যাত্রী আনা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ শ্রমিক ছাড়া যাত্রী নেয় আর যদি আমাদের চোখে পড়ে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।’