ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মারা গেছেন কুষ্টিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার স্মৃতি। তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলকাতার বর্ধমানে ফরটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্মৃতি কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার মঞ্জুর চিশতীর স্ত্রী। কিডনি সমস্যায় চিকিৎসা নিতে স্বামীর সঙ্গে গত ২০ মার্চ বেনাপোল হয়ে তারা ভারতে যান। পরে তার করোনা ধরা পড়ে।
গত বছর করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, কিডনি রোগসহ নানা জটিলতায় যারা ভোগেন, তাদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার বেশি।
স্মৃতির মামা নুরুন্নবী বাবু কুষ্টিয়ার স্থানীয় দৈনিক সময়ের কাগজের সম্পাদক। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, বর্ধমানে কিডনির চিকিৎসা চলাকালে এক সপ্তাহ আগে স্মৃতির করোনা পজিটিভ আসে।
পরিস্থিতির অবনতি হলে চারদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ এপ্রিল নেয়া হয় আইসিইউতে। আজ বিকেলে তার মৃত্যুর খবর আসে।
স্মৃতির মরদেহ বাংলাদেশেই দাফন করা হবে জানিয়ে নুরুন্নবী বাবু বলেন, ‘মরদেহ দেশে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
ভারতে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যায় প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে বিশ্ব রেকর্ড। মৃত্যুর সংখ্যাও ২৪ ঘণ্টায় ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার।
দেশটিতে সবশেষ ছড়িয়েছে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট নামে করোনার একটি রূপ। এই ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে, সে জন্য গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য পণ্য পরিবহন ছাড়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে যারা চিকিৎসাসহ নানা কারণে ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছেন, তারা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন। যদিও তাদেরকে সীমান্তে করোনা পরীক্ষা করিয়ে সেখানেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
স্মৃতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায়, তার মরদেহ দেশে আনতে বিশেষ ব্যবস্থাপনা লাগবে।