২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে হেফাজতে ইসলামের নাশকতা ও তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলায় সংগঠনটি বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের ও আরেক নেতা মুফতি নুরুজ্জামান নোমানীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পল্টন থানায় করা নাশকতার মামলায় কাদের পাঁচ দিন ও নোমানি দুই দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এ সময় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে আসামি পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন।
এ সময় তাদের পক্ষে আরও কয়েক জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
২৫ এপ্রিল কাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিন রিমান্ড আবেদন করে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ দিন কাদেরের পাঁচ দিন রিমান্ড আদেশ দেন।
আর ২৭ এপ্রিল নোমানিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁও থেকে কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
১৯৮২ সালে শিবিরকে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলে জামায়াতের সঙ্গে আদর্শিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আহমদ আবদুল কাদের। এরপর শিবির থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
১৯৮৩ সালে তিনি ইসলামী যুবশিবির প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। সেদিন রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।