স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
একই দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে সংগঠনের আরও দুই নেতাকে। তাদেরকে প্রথমবারের মতো তিন দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্রে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে গত ২৫ ও ২৬ মার্চ মোদিবিরোধী আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় আইয়ুবীকে রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
পল্টন থানার একটি মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
যে মামলায় আইয়ুবীতে নতুন করে রিমান্ড দেয়া হয়েছে সেটিতে পুলিশ তাকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে শুনানি করেন ।
পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. নিজামুদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২২ এপ্রিল ভোরে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি।
রিমান্ডে অন্য দুই জন যারা
বুধবার গ্রেপ্তার হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকেও এদিন তোলা হয় একই আদালতে।
হেফাজত নেতা মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী ও মুফতি হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী
এদের দুই জনকেও বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদেরকে ১০ দিন হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ডের আবেদনের বিরোধিতা ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। এ সময় আরও কয়েক জন আইনজীবী তার সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ।
শুনানি শেষে প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক।
আগের দিন বিকেল চারটায় মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী ও হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।