বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ জাতীয় কমিটির

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:১৪

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্ত দিয়ে জনগণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের শিথিলতা কাম্য নয়।

ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে করোনার ‘ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ চিহ্নিত হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় সীমান্তে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি ।

জাতীয় কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বুধবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্ত দিয়ে জনগণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের শিথিলতা কাম্য নয়।

পালিয়ে আসা রোগীদের প্রসঙ্গে বলা হয়, ভারত থেকে আসা ১০ জন সংক্রমিত ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। এরা যাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিন করা প্রয়োজন।

উচ্চ সংক্রমণশীল দেশ থেকেও বাংলাদেশে যাতায়াত বন্ধ করা বা সীমিত করতে হবে। এ সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কমিটি প্রতিবেশী দেশগুলোর সংক্রমণের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। যদিও বাংলাদেশের সংক্রমণ নিম্নমুখী। কিন্তু পাশের দেশের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের অবস্থা পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক প্রস্তুতি বিশেষ করে অক্সিজেন সংকট প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে।

দেশে সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিধি নিষেধ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিধিনিষেধ পালনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কাজ আগের মতো চালিয়ে যেতে হবে বলে মতামত দেয়া হয়।

টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে কমে ৮শ বা এক হাজার টাকায় নেমে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আরটি পিসিআর টেস্টের দাম ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়।

কমিটির পর্যবেক্ষণ হলো, স্বাস্থ্যকর্মীরা বার্ন আউট হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরেকদল চিকিৎসক (নিউ সেট) প্রস্তুত করার সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় চিকিৎসকদের যাতায়াত সহজ রাখা এবং মানসম্মত পিপিইর পর্যাপ্ত সরবরাহ, তারা তা পাচ্ছে কিনা মনিটরিং করা প্রয়োজন।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, নার্স, টেকনিশিয়ান, অ্যানেসথেসিস্ট নিয়োগ কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। এসব ক্ষেত্রে এখনও জনবল সংকট রয়েছে। জনবলের ঘাটতি রেখে সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। সব বাধা দূর করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার সুপারিশ করা হয়। সরকার অ্যানেসথেসিস্ট, চিকিৎসক, মিড ওয়াইফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের কাছে নার্স নিয়োগেরও সুপারিশ করা হয়।

এ সব বিষয়ে পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সুপারিশ করা হয়। ১২০০ বেডের মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতাল চালু করায় এই কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে মেটারনিটি কর্নার বা ইউনিটের ব্যবস্থা করার জন্যও বিশেষ পরামর্শ দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, এরই মধ্যে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীদের সেবা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না করে জেলার হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের উদ্যোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বিষয়ে জনবল তৈরি দিকেও লক্ষ্য রাখার সুপারিশ করা হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে নির্দিষ্ট রোগীদের করোনার বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থার ব্যাপারে মত দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর