বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাউয়াছড়া আগুনে দায়ী বনবিভাগ

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৫৭

তদন্ত কমিটির সুপারিশের মধ্যে রয়েছে-বনবিভাগের স্টাফদের ওপর তদারকি জোরদার করা, প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া গাছ ও লতাপাতার প্রতি যত্নশীল হওয়া, বনের উন্নয়নমূলক কাজের সময় গ্যাসলাইট বা ম্যাচ সঙ্গে না রাখা, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও ফায়ার স্টেশনের নম্বর সংগ্রহে রাখা।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আগুন লাগার ঘটনায় বন বিভাগের তিন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বনপ্রহরী ও কমিউনিটি পেট্রোল দলের (সিপিজি) এক সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বনবিট কর্মকর্তাকে।

বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে বুধবার দুপুর তিনটার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বন সংরক্ষক মির্জা মেহেদী সারোয়ার ও বন মামলা পরিচালক মো. জুলহাস।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, আগুন লাগার জন্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বাঘমারা ক্যাম্পের বনপ্রহরী মোতাহার হোসেন ও সিপিজি সদস্য মহসিনকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

তিনি আরও বলেন, বনের লতাপাতা পরিষ্কার কাজের তদারকির দায়িত্ব ছিলেন মোতাহার হোসেন। কিন্তু আগুন লাগার পর তিনি নেভাতে কোনো উদ্যোগ নেননি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি।

বিট অফিসার মিজানুর রহমানও দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। তিনি আগুন লাগার পর নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান করছিলেন মো. মহসিন।

তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বলেও জানান বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম। এসব সুপারিশের মধ্যে আছে বনবিভাগের স্টাফদের ওপর তদারকি জোরদার করা, প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া গাছ ও লতাপাতার প্রতি যত্নশীল হওয়া, বনের উন্নয়নমূলক কাজের সময় গ্যাস লাইট বা ম্যাচ সঙ্গে না রাখা, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও ফায়ার স্টেশনের নম্বর সংগ্রহে রাখা।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমলে নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে।

মো. রেজাউল করিম বলেন, যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বনপ্রহরী মুহিতুলের নাম আসেনি। তারপরও বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার নাম আসায় তাকে কারণ দর্শাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘কোনও অবস্থাতেই বনের ইকোসিস্টেম নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। যারাই এই ঘটনার জড়িত থাকবে তাদের রিুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বনবিট কর্মকর্তার জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত ২৪ এপ্রিল লাউয়াছড়া ডরমেটরি এলাকার উল্টোপাশে আগুন লেগে প্রায় ৮ একর জায়গার বেত, গাছ ও উদ্ভিদ পুড়ে যায়। এ সময় বন্যপ্রাণীরা ছুটোছুটি শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বনবিভাগ ১৫.৮০ হেক্টর এলাকায় নতুন করে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, সেখান থেকেই হয় আগুনের সূত্রপাত।

এ বিভাগের আরো খবর