গরমে হাঁসফাঁস রাজধানীবাসীর জন্য স্বস্তি এনে দিয়েছে বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার আকাশ অভিমানী হতে শুরু করে। সারা দিনের দাবদাহ থেকে মুক্তি দিতে রাত সাড়ে ১১টার পর শুরু হয় দমকা ও ঝড়ো হাওয়া। এরপর ঝুম বৃষ্টির সঙ্গে শিলা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীতে দমকা হাওয়া বইতে পারে এমন আভাস ছিল। তবে এমন শীতল বৃষ্টির ছোঁয়া থাকবে সেটা জানা যায়নি।
এর আগে অধিদপ্তর বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল সারা দেশে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি বাড়বে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায়।
সারা দিন ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়িয়ে রাতের এই বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে রাজধানীতে। কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ এলাকায় রাত ১১টার পর থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এরপর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।
প্রগতি সরণি এলাকায় গাড়িচালক আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃষ্টি অনেক বেশি। গাড়ির গ্লাস দিয়ে কিছু দেখা যায় না। সাথে শিলা পড়েছে। হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে।’
আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিলেটে ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হঠাৎ এ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন পথচারীরা। যে যেভাবে পারেন আশ্রয় নেন ছাউনির নিচে।
বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তায় নেমে আসেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা
অনেকে বৃষ্টি দেখে রাস্তায় নেমে আসেন। ছোটাছুটি শুরু করে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। তাদেরই একজন আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে ফলগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় তাই ছুটে আসা। এখন বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে। আজ রাতে আরামে ঘুমাতে পারব।’
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানি ঢাকার অনেক অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৃষ্টি শেষ হলে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে আগে থেকে বলা হয়েছিল, আজ অথবা কাল থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।’