বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেজি দরে তরমুজ বেচে জরিমানা গুনল স্বপ্ন

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১১

কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে।

গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ নিয়ে কদিন ধরেই চলছে তুলকালাম। চাষিদের কাছ থেকে কম দামে তরমুজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এমনকি কেজি দরেও তরমুজ বিক্রি হচ্ছে অনেক জায়গায়।সিলেটে সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ও এভাবে কেজি দরে বিক্রি করছিল তরমুজ। তবে এতে বাধ সাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার স্বপ্ন’র সিলেট নগরের উপশহর শাখায় অভিযান চালিয়ে কেজি দরে ও অতিরিক্ত মূল্যে তরমুজ বিক্রির প্রমাণ পান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ। এতে সহায়তা করে র‍্যাব-৯।শ্যামল পুরকায়স্থ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বপ্নতে প্রতিকেজি তরমুজ ৬৮ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ হিসেবে একটি বড় তরমুজের মূল্য পড়ে ৬০০ টাকা। অথচ তাদের ক্রয় রশিদ যাচাই করে দেখা যায়, আড়ৎ থেকে তারা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনেছেন। এতে বড় সাইজের একটি তরমুজের দাম পড়েছে ৩০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে ও দ্বিগুণ লাভে বিক্রির দায়ে স্বপ্নকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে।

স্বপ্ন ছাড়াও নগরের কদমতলী ফলের আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ফলের আড়তে মূল্য তালিকা না থাকা, অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি, তরমুজের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকা এবং ক্রয় রশিদ সরবরাহ করতে না পারার অপরাধে চারটি দোকানে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এর মধ্যে বীণা ফলের আড়তকে ২ হাজার, মোজাম্মেল ফলের আড়তকে ৪ হাজার, সুলতান এন্টারপ্রাইজকে ৪ হাজার এবং মের্সাস মা ফল ভাণ্ডারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, ‘বাজার ও পণ্যের মান তদারকিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রমজান মাসে এ অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর