করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন কয়েক দিন ধরেই। এতে হার মানলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রেস সচিব, প্রবীণ সংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শাহজাহান।
বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রেখে গেছেন স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী।
এর আগে শাহজাহানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে অক্ষমতার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে আর্থিক সহায়তাও চাওয়া হয়েছিল।
নিউজবাংলায় বুধবার বিকেলেই এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তার অপেক্ষা না করেই চলে গেলেন ৭৮ বছর বয়সী শাহজাহান।
২৩ এপ্রিল থেকে রাজধানীর উত্তরার বেসরকারি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই সাংবাদিক।
সৈয়দ শাজাহানের স্ত্রী সৈয়দা জাহানারা শেফালী জানান, গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ বোধ করলে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরে তার করোনা পজিটিভ আসে। ২৩ এপ্রিল রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে শাজাহানকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউ শয্যায় রাখা হয়।
সৈয়দ শাহজাহানের ভাতিজা সৈয়দ শফিউল আলম বলেন, ‘বুধবার দুপুরের পর থেকে চাচার অবস্থার অবনতি ঘটে। বিকেলে অক্সিজেন লেভেল একেবারে কমে যাওয়ায় লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি জানান, শাহজাহানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জামালপুরে শহরে। সেখানে জানাযা শেষে জামালপুর শহরের এক নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়ির পাশে তার দাফন হবে।
সৈয়দ শাহজাহান দৈনিক ইত্তেফাকে প্রায় ৪৫ বছর সাংবাদিকতা করেন। এই সময়ে প্রাচীন এই পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক, শিফট ইনচার্জসহ বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এই সদস্য।
কচি-কাঁচার আসরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শাহজাহান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিল তার ঘনিষ্ঠতা।