বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের সাখী ফের রিমান্ডে

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:১২

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায় চারদিনের রিমান্ডে শেষে মামলার বুধবার বিকেলে সাখীকে আদালতে হাজির করা হয়। এবার মোদি বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ততা ও গাড়ি ভাঙচুর এবং নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক দুই দিনের রিমান্ড দেন।

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহ-দপ্তর সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবার দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায় চারদিনের রিমান্ডে শেষে মামলার বুধবার বিকেলে সাখীকে আদালতে হাজির করা হয়। এবার মোদি বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ততা ও গাড়ি ভাঙচুর এবং নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অপর দিকে সাখীর পক্ষে রিমান্ড বাতিল এবং জামিন আবেদন করেন জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।

শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএ) হাকিম বাকী বিল্লাহ তিনদিনের রিমান্ড আদেশ দেন বলে নিউজবাংলাকে জানান আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য জাহিদুল ইসলাম।

এর আগে গত শুক্রবার ২০১৩ সালে পল্টন থানার দায়ের করা নাশকতার মামলায় ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর আদালত সাখীকে চারদিনের রিমান্ড দেন।

২২ এপ্রিল সাখীকে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। পরে তাকে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরের হেফাজতের সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জেও।

এসব ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়, আগত হয় আরও অনেকে। সরকারি অফিস, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বহু স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

হেফাজতের সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতায় সাখী জড়িত ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে।

এসব ঘটনার পর থেকে সরকারের সঙ্গে হেফাজতের দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিভিন্ন মামলায় গত কয়েক দিনে গ্রেপ্তার হয় ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ২৫ জন নেতা।

এর শুরুটা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে দিয়ে। ১৮ এপ্রিল দুপুরে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

চলমান গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার আশায় ১৯ ও ২৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। বৈঠকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছুই বলেনি তারা। দুই দফার বৈঠকের পরও হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার থামছে না।

গ্রেপ্তার নেতাদের ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর ও গত মাসের তাণ্ডবের মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর