হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পর এবার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড দেয়া হয়েছে সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমেনীকে।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে দিনভর সহিংসতার ঘটনায় এক মামলায় তিন দিন ও গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের মামলায় আরও তিন দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তাকে।
বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতেন বিচারক হাকিম বাকী বিল্লাহর আদালতে তোলা হয় আতাউল্লাহকে।
গত ২২ এপ্রিল আতাউল্লাহকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
আদালতে হাজির করার পর মতিঝিল ও পল্টন থানার দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং এক মামলায় ১০ দিন ও আরেক মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে করেন জামিন আবেদন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার নিবন্ধন শাখার সদস্য জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েব আল হাবিব, মামুনুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকেও দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।
সেদিন রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সংগঠনটি।
এ ঘটনায় সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পল্টন, মতিঝিল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৫৬টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৪৭টি মামলার তদন্ত থমকে ছিল।
তবে গত ২৬ মার্চ থেকে হেফাজত কর্মীরা সহিংস হয়ে উঠার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল যে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়, তাতে যাদেরকে ধরা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকেই আট বছর আগের মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে এক হেফাজত নেতা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন, ৫ মের ওই কর্মসূচির আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজতের সে সময়ের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। বিএনপির এক নেতা তখন পাঁচ কোটি টাকাও দেয় হেফাজতকে।
তবে হেফাজত বিবৃতি দিয়ে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে।