বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতে অর্থদাতাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:০৩

হেফাজতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরা কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি। তবে এখনই ঘোষণা করার মতো সময় হয়নি। কার একাউন্টে কীভাবে টাকা আসছে সেগুলো তদন্ত শেষ হলেই ঘোষণা করা হবে।’

মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিভিন্ন সময়ে যারা হেফাজতে ইসলামকে টাকা দিয়ে আসছেন তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির টাকার উৎস সময়মতো প্রকাশ করা হবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার রাজধানীতে সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হেফাজতকে টাকা দিয়ে আসছেন এমন ৩১৩ জন অর্থদাতার তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দুটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, মামুনুলের ওই দুটি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

হেফাজতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরা কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি। তবে এখনই ঘোষণা করার মতো সময় হয়নি। কার একাউন্টে কীভাবে টাকা আসছে সেগুলো তদন্ত শেষ হলেই ঘোষণা করা হবে।’

হেফাজতের গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, তারা রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবে না। বিষয়টি তারা মানছে না বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘আমরা লক্ষ্য করেছি রাজনৈতিক বেড়াজালের মধ্যে আটকে বিভিন্ন অপকৌশলে আমাদের চিহ্নিত যেসব জঙ্গি-সন্ত্রাসী, যারা সবসময় রাষ্ট্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে তাদের সঙ্গে তারা (হেফাজত) সম্পৃক্ত হয়ে যায়। এবারও এ ধরনের একটা প্রচেষ্টা তারা করেছিল।

‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো দমন করতে পেরেছেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ভূমি অফিস, ডিসি বাংলো, এসপি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এর পেছনে নিশ্চয় একটা উদ্দেশ ছিল। এগুলো যদি একসঙ্গে মূল্যায়ন করেন তাহলে বোঝা যায় যে, এর পেছনে একটা রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল।’

নারী নীতির বিরোধিতা করতে গিয়ে ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠন করা হয় হেফাজতে ইসলাম। তবে সংগঠনটি তুমুল আলোচিত হয়ে উঠে ২০১৩ সালে।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের ধর্মদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মাঠে নামেন তারা। ওই বছরের ৫ মে ১৩ দফা দাবিতে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়ার ঘটনায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় তারা।

গত মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরেও শাপলা চত্বরের মতোই তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা দেখা যায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের মাঝে। বিক্ষোভ-হরতালের নামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হেফাজত।

এসব ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়, আগত হয় আরও অনেকে। সরকারি অফিস, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বহু স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা শাপলা চত্বরের মতো ঘটনা ঘটানোর প্রচেষ্টা বা দুরভিসন্ধি ছিল বলে আমাদের তদন্ত চলে আসছে।’

হেফাজতের সাম্প্রতিক সহিংসতার পরই ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর ও গত মাসের তাণ্ডবের মামলায় তাদের প্রত্যেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

শাপলা চত্বরের তাণ্ডবে একাধিক মামলার আসামি হেফাজতের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীও। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাবুনগরীর বিরুদ্ধে মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা ছিল। সে আটকও হয়েছিল। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর