বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গিনি-বিসাউয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:২৭

পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান প্রথম অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে মঙ্গলবার গিনি-বিসাউয়ের রাজধানীতে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি উমারো সিসোকো এমবালোর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।   

পশ্চিম আফ্রিকার ৩৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশ গিনি-বিসাউ। ১৮ লাখ মানুষের এই দেশটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশে একজন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পর্তুগালের লিসবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস।

এতে বলা হয়, পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান প্রথম অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে মঙ্গলবার গিনি-বিসাউয়ের রাজধানীতে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি উমারো সিসোকো এমবালোর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে তার হোটেল থেকে প্যালেস অব দ্য রিপাবলিকে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। রাষ্ট্রদূত সালাম গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও গিনি-বিসাউয়ের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের পর সে দেশের রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক হয়। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন, প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হিসেবে গিনি-বিসাউয়ের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সুযোগ পেয়ে তিনি গর্বিত।

তিনি বাংলাদেশ ও গিনি-বিসাউয়ের ঐতিহাসিক সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশই মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করেছে। অতীতে দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক না থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

বাংলাদেশে গিনি-বিসাউয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পাঠানো হলে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অধিকতর মজবুত হবে বলে রাষ্ট্রদূত মত প্রকাশ করেন তারিক।

তিনি দুই দেশের মধ্যকার অপার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, গিনি বিসাউ বাংলাদেশ থেকে সুলভ মূল্যে উন্নত মানের পণ্য (যেমন: তৈরি পোশাক, ওষুধ সামগ্রী, সিরামিক, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, বাইসাইকেল/মোটরসাইকেল, জাহাজ) আমদানি করতে পারে।

তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের আলোকে বাংলাদেশ ও গিনি-বিসাউ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি খাতে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক ইস্যুতে বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোতে দুই দেশের একযোগে কাজ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সম্মানজনক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো বহুপক্ষীয় সংস্থায় গিনি-বিসাউয়ের অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

গিনি-বিসাউয়ের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উত্থাপিত বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনেন এবং তার দেশে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের জন্য অভিনন্দন জানান।

তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করে তাদের শুভেচ্ছা পাঠান।

সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সক্ষমতা উন্নয়নে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যমী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশে গিনি-বিসাউয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পাঠানোর বিষয়ে সদিচ্ছা পোষণ করেন রাষ্ট্রপতি এমবালো। তিনি রাষ্ট্রদূতকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর