ঢাকা সফরে এসে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে একদিনের সফরে ঢাকায় পা রাখেন চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। দুপুরে সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফেঙ্গহি।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দুদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, সশস্ত্র বাহিনী পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীনের সহযোগিতার বিষয়ে ধন্যবাদ জানান তিনি। আলোচনায় সেনাপ্রধান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সকলের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন চীনা মন্ত্রী। বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্কের গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে সন্তোষ জানিয়ে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় জানান তিনি।
বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি। এ ছাড়া, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সঙ্গে সহায়তার প্রস্তাব করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফেঙ্গহি।
বৈঠকের সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি), চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও-এএফডি), সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডন্যান্স (এমজিও) সহ অন্যান্য জেনারেলরা উপস্থিত ছিলেন।