বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ হেফাজতে ঝর্ণা

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৪৯

গত ৩ এপ্রিল ঝর্ণাকে নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে গিয়ে মামুনুল হক স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। সেই রাতে বিব্রতকর অবস্থা থেকে হেফাজত নেতা ও ঝর্ণাকে উদ্ধার করে সংগঠনের স্থানীয় কর্মীরা। তবে এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টের সঙ্গীনি জান্নাত আরা ঝর্ণাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের ঘটনাপ্রবাহের পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার।

রিসোর্টকাণ্ডের পর ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন মামুনুল। তবে তার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ে।

তাকে উদ্ধারে বাবা ওলিয়র রহমান ও বড় ছেলে আবদুর রহমান জামি ঢাকার দুটি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

এদের মধ্যে বাবা ডায়েরি করেন সোমবার। আর পরদিনই ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি দল ঝর্ণাকে মোহাম্মদপুরে মামুনুল হকের বোন দিলরুবার বাসা থেকে নিয়ে আসে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন একজন কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান রিপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল তার বাবা কলাবাগান থানায় একটি জিডি করছে। আমরা তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছি।’

গত ৩ এপ্রিল ঝর্ণাকে নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে গিয়ে মামুনুল হক স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

ঝর্ণার নাম বলেন আমিনা তাইয়্যেবা, দাবি করেন, তাদের বাড়ি খুলনা, বাবার নাম জাহিদুল ইসলাম।

তবে পুলিশকে সেই রাতে ঝর্ণা নিজের নাম জানিয়ে বলেন, তার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়, বাবার নাম ওলিয়র রহমান।

সেই রাতে বিব্রতকর অবস্থা থেকে হেফাজত নেতা ও ঝর্ণাকে উদ্ধার করে সংগঠনের স্থানীয় কর্মীরা। তবে এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ কেবল জানিয়েছে, ঝর্ণা ও মামুনুল আলাদা গাড়িতে করে ফিরেছেন। আর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়, ঝর্ণা সে রাতে হেফাজতের নারায়ণগঞ্জের একজন নেতার সঙ্গে ঘটনাস্থল ছাড়েন।

এরপর ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল বলেন, ঝর্ণা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর মাদ্রাসার হাজী সাহেবের বাসায় আছেন। সেখানে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।

ঝর্ণা রাজধানীর নর্থ সার্কুলার রোডের সাবলেট থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত ভাড়াটিয়া সালমা খান নিউজবাংলাকে জানান, রিসোর্টকাণ্ডের পর আর বাসায় ফেরেননি এই তরুণী।

ঝর্ণার বিয়ে হয়েছিল শৈশবে। স্বামী খুলনার জনৈক হাফেজ শহিদুল ইসলাম। বছর তিনেক আগে এই দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়।

শহিদুলের সঙ্গে মামুনুল হকের ঘনিষ্ঠতা ছিল। আর তিনিই ঝর্ণার সংসার ভাঙার পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সেই দম্পতির ছেলে আবদুর রহমান জামি।

রিসোর্টকাণ্ডের পর জামি ঢাকায় এসে ঝর্ণার সেই ঘর থেকে তিনটি ডায়েরি খুঁজে পান। সেখানে লেখা ছিল দুই বছর আগে মামুনুল তার সঙ্গে চু্ক্তি করেছেন। কিন্তু বিয়ে হয়নি বলে তার মনে কষ্ট স্পষ্ট।

পরে আবদুর রহমান ১১ এপ্রিল ঢাকার পল্টন থানায় তার মায়ের সন্ধান ও ডায়েরির নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশকে মামুনুল বলেন, ঝর্ণাকে তিনি চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করেছেন। সেখানে শর্ত ছিল তিনটি। ১. স্ত্রীর মর্যাদা পাবেন না, ২. সন্তান ধারণ করা যাবে না, ৩. সম্পত্তির ভাগ পাবেন না।

এই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ।

তবে মামুনুল একই শর্তে আরও একজন নারীকে এভাবেই চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করার কথা জানিয়েছেন। তার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি।

ঝর্ণার মতো লিপিকে উদ্ধার করার আর্জি জানিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার ভাই মো. শাহজাহান। তবে লিপির খোঁজ এখনও মেলেনি।

এ বিভাগের আরো খবর