পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানশনে আগুনের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ওই ভবনের দুই কেমিক্যাল ব্যবসায়ীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- ভবনটির নিচতলার ভাড়াটিয়া কেমিক্যাল ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ মোস্তফা।
আরমানিটোলার ভবনটিতে আগুনের ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফাসহ আটজনের নামে অবহেলা ও আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থ বা রাসায়নিক রাখার দায়ে বংশাল থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়।
সোমবার মামলার দুই নম্বর আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে এবং তিন নম্বর আসামি মোহাম্মদ মোস্তফাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড দেন বিচারক।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাজী মুসা ম্যানশনের নিচতলায় আগুন লাগে। সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফা আহম্মেদসহ অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা মুসা ম্যানশনের নিচতলায় দাহ্য পদার্থ এবং কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান ও গোডাউন হিসেবে অত্যন্ত অবহেলা জনিতভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউনের আগুন লাগার ফলে কেমিক্যালের বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ও আগুনে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনে বসবাসরত আবাসিক ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে এবং ভাঙচুরের শিকার হয়ে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আসামিরা তাচ্ছিল্যভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আবাসিক বাড়িতে দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান বা গোডাউন ব্যবহার করে অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটিয়ে ও ক্ষতিসাধন করে অপরাধ করেছে।