কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আরবি পড়ার সময় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
রমজান মাসে রোজা থেকে ওই শিক্ষক এই অপকর্ম করেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পান্টি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হেফাজতে ইসলামের এক সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটিয়ে হুজুর সমাজপতিদের সহযোগিতায় পালিয়ে যান বলে শিশুটি মা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চা প্রতিদিন সকালে আরবি পড়তে ইছাহক হুজুরের বাড়িতে যায়। কিন্তু হুজুরের বাড়িতে যেতে তার বাচ্চা মাঝে মাঝেই আপত্তি জানায়। ভেবেছিলাম পড়া ফাঁকি দেবার জন্য বাহানা করে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পড়তে গিয়ে ফিরে এসে মেয়ে জানায় অনেক দিন ধরেই ইছাহক হুজুর তার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। ইতোপূর্বে ভয়ে বাড়িতে জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক হুজুরের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে জানাই। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। এরপর সমাজপতি রহমত আলীর ছেলে আনিস বিকেলে ইছাহক হুজুরকে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে মাফ চাইতে বলেন। বিষয়টি আর কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায় তারা।’
শিশুটি জানায়, পড়তে গেলে ইছাহক হুজুর খেজুর বা চকোলেট খেতে দেন। বৃহস্পতিবার অন্যান্যদের আগেই ছুটি দিয়ে তাকে বসতে বলেন। পরে অন্য কক্ষে নিয়ে গায়ে হাত দেন।
সমাজপতি আনিছের স্ত্রী হাছিনা বলেন, ‘আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করে এবং এলাকার সমস্ত সালিসী বৈঠক করে। স্বামী ইছাহক হুজুরকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং মাপ চাওয়ায়। এ বিষয়টি এখানেই শেষ।’
তিনি বলেন, ‘ইছাহক হুজুর হেফাজতে ইসলামের সদস্য, তিনি দুর্বল লোক না।’
পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তাইজাল বিশ্বাস বলেন, ‘শিশুর পরিবার ভয়ে কারও কাছে যেতে পারছে না। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তার ওপরও চাপ আসছে।’
তাইজাল বলেন, ‘আরবি শেখানোর নামে ইসাহক রোজা রেখে এই অপকর্ম করেছেন। তার কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।’
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, ‘আমরা ফেসবুক থেকে ঘটনা জানতে পারি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘তারপরও স্থানীয় পান্টি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. আতিককে ওই বাড়িতে পাঠানো হয়। অভয় দেয়ার পরও তারা অভিযোগ দিতে চাননি।’