বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজত নেতা হাবিব, জালালুদ্দিন রিমান্ডে

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:০৪

আদালত পল্টন থানার দুই মামলায় জুনায়েদ আল হাবীবকে চার দিন আর মতিঝিল থানার এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেন বিচারক। আরেক হেফাজত নেতা মাওলানা জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা দুই মামলায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ড দেন বিচারক।

হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সাত দিনের ও মাওলানা জালাল উদ্দিনকে দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম সাদবির ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে আসামিদের একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালত পল্টন থানার দুই মামলায় জুনায়েদ আল হাবীবকে চার দিন আর মতিঝিল থানার এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক।

আরেক হেফাজত নেতা মাওলানা জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা দুই মামলায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ড দেন বিচারক।

আলাদাভাবে প্রত্যেক মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘ হেফাজত নেতা মামুনুল হক, জুনায়েদ আল হাবিব, জালাল উদ্দিন ও জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অন্যান্য নেতারা ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালায়। তারা কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।

‘সেদিনের ঘটনায় সাতজন নিহত হয়। ধর্ম প্রচারের নামে তারা নাশকতা করেছে। হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের সমাবেশের সাথে বিএনপি-জামায়াত জড়িত ছিল। তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে তারা মিথ্যাচার করে। কিন্তু পরে তারা এর কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।’

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান, ‘তিন আসামিকে যে মামলায় রিমান্ডে নেয়া হলো তা তদন্তাধীন। সরকার মামলাগুলো জিইয়ে রেখেছে। হেফাজতের সঙ্গে সরকারের যখন সম্পর্কের অবনতি হবে তখনই তাদের ধরে নিয়ে আসবে।’

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিমান্ড শুনানি করেছে একই আদালত।

মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের অনুমতিক্রমে মামুনুল হক আদালতকে বলেছেন, ঘটনার দিন গত ২৬ মার্চ তিনি বাংলাবাজার জুমা মসজিদে নামাজ পড়ান। নামাজ শেষে পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে জানান, বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিরা জড়ো হয়েছেন। ভিতরে অনেক মুসল্লি আটকা পড়ে গেছেন। তারা আমাদের বিশ্বাস করতে পারছে না। আপনি (মামুনুল হক) একটু আসেন। এসে তাদের বের করে দেন।

‘একজন ডিআইজির অনুরোধে তিনি বায়তুল মোকাররম যান। সেখানে গিয়ে তিনি তাদের বের করে দেন। এরপর তিনি মসজিদে যান। তিনি তো সেদিন ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেনও না। পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে তিনি সেখানে যান। পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধ রক্ষা করেন।’

তিনি আরও বলেন, সেই দিন পুলিশের অনুরোধ রক্ষা করতে গিয়ে আজকে তার বিরুদ্ধে এমন একটা মামলা হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক।

২৫ মার্চ মোদি বিরোধী আন্দোলনে গাড়ি ভাংচুর, রাস্তা অবরোধ ও নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলা, এছাড়া পল্টন থানার অপর মামলাটি পুলিশ বাদী হয়ে করে। ২৬ মার্চ শুক্রবার বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাণ্ডব, পুলিশকে মারধর এবং আশপাশের এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত করার অভিযোগে পল্টন থানায় পুলিশ মামলা করে। এছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংসতা ও তাণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর