বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গমাতার নামে পদক দেবে সরকার

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৬

রাজনীতি; অর্থনীতি; শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া; সমাজসেবা; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ; গবেষণা; কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে এ পদক দেয়া হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামানুসারে রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার।

পদকটির নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’।

এটি নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে।

রাজনীতি; অর্থনীতি; শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া; সমাজসেবা; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ; গবেষণা; কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে এ পদক দেয়া হবে।

সোমবার এক ভার্চুয়াল সভায় এ নিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতির জন্য এই পদক প্রবর্তন করেছে বলে জানান মন্ত্রণালয়টির প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, ‘মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার দেশপ্রেম, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, মানবকল্যাণ ও ত্যাগের মহিমা বাঙালিসহ বিশ্বের সকল নারীর কাছে চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস।’

সভায় জানানো হয়, এই সাত ক্যাটাগরি ও সরকার নির্ধারিত অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ দেয়া হবে। পদকের জন্য মনোনীত নারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচজন নারীকে এ পদক প্রদান করা হবে।

পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেক নারী পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে তৈরি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা ও সম্মাননাপত্র।

এ জন্য ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নীতিমালা-২০২১’ প্রণয়ন করেছে মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিনে বিজয়ী নারীদের হাতে পদক তুলে দেয়া হবে।

বাছাই যেভাবে

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের বাছাই কমিটি বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন। বাছাই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রাখা হয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)।

পদকের জন্য পাওয়া আবেদন মূল্যায়ন করে সর্বোচ্চ ১০ জনের নাম জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য সুপারিশ পাঠাবে। এরপর জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে বিজয়ীদের।

আবেদন

যারা নিজেদের এ পদকের জন্য যোগ্য মনে করবেন, তাদের আবেদনের সুযোগ থাকছে এ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত।

‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নীতিমালা-২০২১’ অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে তাদের আবেদন করতে হবে। দুই ওয়েবসাইট www.mowca.gov.bd ও www.jms.gov.bd থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

সেই ছক অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী ৩১ মের sasmobio-1@mowca.gov.bd আইডিতে মেইল করে এবং আবেদনের হার্ড কপি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

পদক সংক্রান্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর