দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ যা আগামী দুই-তিনদিন একই ভাবে চলবে। তবে আগামী শুক্রবারের পর কালবৈশাখী বা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে এই সময়ে গরম পড়ার কথা। এই সময়টাতে সূর্য একদম মাথার উপরে অবস্থান করে ও লম্বাভাবে কিরণ দেয়। এখন দিন আগের তুলনায় বড় হয়ে গেছে। তাই গরম পড়াটা স্বাভাবিক।
সাধারণত এই সময় বৃষ্টি থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বার এই সময়ে বৃষ্টি হয়ে থাকে। সাধারণত এমন গরম অব্যাহত থাকলে বৃষ্টি হবেই। আমরা আশা করছি আগামী দুই-তিন দিন পরে বৃষ্টি হয়ে এই গরম ভাব দূর হবে। আমাদের আশা শুক্রবারের পর থেকে এই দাবদাহ কমতে থাকবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে কুষ্টিয়া, রাজশাহী, যশোর, খুলনা অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে চলছে। রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেটের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে চলছে যা অব্যাহত থাকবে। আগামী তিনদিন এমন অবস্থা চলতে থাকবে। এসময় তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তবে এরপরেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হটাৎ করে কেন তাপমাত্রা এমন বাড়ছে এর উত্তরে তিনি বলেন, আসলে এটা কিন্তু স্বাভাবিক। যখন এমন তাপমাত্রা আসে আমরা ভাবি যে অনেক বছর এমন হয় না। প্রতি বছরে এই সময়ে এমন তাপমাত্রা থাকে। এটা ধারাবাহিকভাবে কিছুদিন থাকার পর বৃষ্টি হয়ে কমতে থাকে। আমি আগেই বলেছি যে সূর্য এখন লম্বভাবে এই অঞ্চলে কিরণ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে আমাদের দেশে ২০১৪ সালেও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আমাদের দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিও ছিল ১৯৭২ সালে।
আজকেও আগের দিনের মত তাপমাত্রা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ এখনও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত জানা যায়নি। এটা তিনটার পর জানা যাবে। আশা করি, আজও আগের দিনের মতই ৪১ ডিগ্রি এর কাছাকাছি থাকবে। আসলে এই তাপমাত্রা আরও দুই-তিন দিন এমনভাবে থাকবে। এরপর ঝড় বৃষ্টি হলে কমতে থাকবে তাপদাহ।’