বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন বাড়ছে আরও এক সপ্তাহ

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫৯

প্রতিমন্ত্রী নিউজবাংলাকে জানান, লকডাউনের সময়ে অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে দোকানপাট ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী নিউজবাংলাকে জানান, এ সময়ে অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে দোকানপাট ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।

‘যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে। শুধু দোকানপাটও শপিংমল খোলা থাকবে।’

এর আগে শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন শেষ হচ্ছে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে। আর বাড়ানো হবে না লকডাউনের সময়সীমা। তবে চলাচলে আগের মতো মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকারকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা আরও এক সপ্তাহের জন্য কন্টিনিউ করতে যাচ্ছি। এটা হলো আমাদের ডিসিশান। আমাদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যে, আরও এক সপ্তাহ এটাকে কন্টিনিউ করতে হবে। অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।’

আর এক সপ্তাহ বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের অবস্থাটা এত খারাপ করেছে যে, এটা নিয়ে আমরা খুব ভয় পাচ্ছি। এটা যদি বাংলাদেশের চলে আসে...ইতোমধ্যে যশোরে দুজন পাওয়া গেছে। এ কারণে এটা আমাদের সাবধানতা, আমাদের ডিসিশান।’

শপিং মল ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

গণপরিবহন বন্ধ থাকলে শপিংমলে মানুষ কীভাবে যাবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পায়ে হেঁটে। কারণ শপিং মল সবই কাছাকাছি আছে। দোকানপাটগুলো খোলা থাকবে; কারণ তারা কষ্ট করছিল। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

এক সপ্তাহ বলতে ঠিক কত তারিখ পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে সেটা চূড়ান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে, ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সেটি আমরা কালকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেব।’

লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এলেও বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে করা হয়েছে। আমাদের আরও একটা সপ্তাহ এটি কন্টিনিউ করতে হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে মহানগরগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।

শেষ দিকে এসে সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত আসে। পরে সরকার আরও দুই দিনের জন্য বিধিনিষেধের সময় বাড়ায়।

কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।

কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে আরোপ করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। এর মধ্যে শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও মানুষের জীবন-জীবিকা বিবেচনায় লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

চলমান লকডাউনের মধ্যে রোববার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল আরও বেশি সময় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর