বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় আসছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:২৫

মঙ্গলবারের সফরে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা ও টিকা সহযোগিতার আলোচনা প্রাধান্য পাবে।

টিকা রাজনীতির এক টালমাটাল সময়ে এক দিনের সফরে ঢাকা আসছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি।

তিনি পূর্বনির্ধারিত সফরের অংশ হিসেবেই ঢাকা আসছেন বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার জানান, এটা হঠাৎ সফর নয়। গত নভেম্বরে এই সফর হওয়ার কথা ছিল। পরে স্থগিত হয়। এবার তা হচ্ছে। এটা রুটিন সফর।

সফরে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা ও টিকা সহযোগিতার আলোচনা প্রাধান্য পাবে।

ক্রমেই দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভরকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে ঢাকা। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও চীনা কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকাভিত্তিক তৎপরতাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ঢাকার কূটনীতিক মহল।

২২ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জন্য ঢাকায় কোভিড ভ্যাকসিনের স্টোরেজ গড়ার চীনা প্রস্তাবে সম্মতি ঘোষণা করেন। যে প্রস্তাবে করোনায় বিপর্যস্ত ভারত নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বলছে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনীতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও সামরিক সহযোগিতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। চীন থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জামও কেনে বাংলাদেশ।

বিশেষ করে ১৯৭৭ সাল থেকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য কেনা সমরাস্ত্রের বড় উৎস চীন। নৌবাহিনীর জন্য প্রথম দুটি সাবমেরিনও কেনা হয়েছে চীন থেকে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ছাড়াও বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম চীন থেকে কেনা হয়েছে।

এ ছাড়া ভূরাজনৈতিক কারণেও চীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ বেড়ে গেলে ভারত থেকে কেনা টিকা পাঠাতে গড়িমসি শুরু করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত সরকার। কেনা টিকার চালান ধাপে ধাপে দেয়ার কতা থাকলেও ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর সিরাম বলছে টিকা দিতে আরও সময় লাগবে।

এমন অবস্থায় বিকল্প হিসেবে চীন থেকে টিকা পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ। চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরে টিকা ইস্যুও গুরুত্ব পাবে।

ঢাকার কূটনীতিকরা মনে করেন, পরিবর্তনশীল বিশ্ব ভূরাজনীতি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং টিকা কূটনীতির এ পর্বে জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহির বাংলাদেশ সফর তাৎপর্যপূর্ণ। সংগত কারণেই এসব বিষয় এ সফরে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও তা গুরুত্বপূর্ণ।

চীনবিরোধী অবস্থান নিতে ঢাকাকে চাপ

সম্প্রতি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এই অঞ্চলে চীনাবিরোধী ইন্দো প্যাসেফিক পরিকল্পনা বা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) জোটে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে ঢাকাকে। যদিও বাংলাদেশ এখনো কোনো সামরিক জোটে যাওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়নি। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন।

কারণ তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের (বিআরআই) বড় অংশীদার বাংলাদেশ। আইপিএসের চাপে যাতে এটা চাপা না পড়ে, সে বিষয়টি চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনায় তুলতে পারেন বলে মনে করছে ঢাকা।

চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি মঙ্গলবার ঢাকা সফর শেষ করে শ্রীলঙ্কা হয়ে বেইজিং ফিরতে পারেন। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ চীনের কংগ্রেসে জেনারেল ফেঙ্গহি জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

অতি সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি কানেক্টিভিটি, সহযোগিতা জোরদার ও বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন ফলাফলের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক চীন।

‘চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ঐতিহ্যবাহী বন্ধু। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের এক গতি উপভোগ করছে, কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস জোরদার করা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে সহযোগিতা এগিয়ে চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর