করোনা মহামারিতে চাকরিচ্যুত, বেতন না পাওয়া দুই হাজার সাংবাদিককে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি সভাশেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় আপাতত দুই হাজার সাংবাদিককে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে এককালীন সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ অর্থবছরে কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত সহায়তার আওতায় আরও দুই শতাধিক সাংবাদিককে সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পরও একইভারে সহায়তা করা হয়। তখন ৩ হাজার ৩৫০ সাংবাদিক পান এই অর্থ সহায়তা।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন লকডাউন চলছে, সরকারি ছুটিতে মন্ত্রণালয়গুলো বন্ধ, এর মধ্যেই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারি, সে জন্যই আজকে এই জরুরি বৈঠক করা হয়েছে।’
করোনাকালে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি নিয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য।’
অন্য ব্যবসার মতো করোনাকালে গণমাধ্যমও সংকটে পড়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ আমি শুরু থেকেই করেছিলাম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
চাকরিচ্যুতি ঠেকাতে আলাপ আলোচনা চলছে বলেও জানা তিনি।
‘সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করব, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুনর্বহাল করার দিকেই কর্তৃপক্ষ যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।’
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধে বিএনপি মহাসচিবের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সীমান্ত স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে চালু থাকে সেভাবে চালু নাই। বাংলাদেশের কোনো মানুষ সেখানে যেতে পারছে না। সেখান থেকে বাংলাদেশেও কেউ আসতে পারছে না। কিন্তু পণ্য পরিবহন চালু আছে।’
বাংলাদেশকে সংকটে ফেলতেই বিএনপি মহাসচিব এমন প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিতে বলেছেন, যাতে বাংলাদেশে পণ্যের সংকট হয়। উনি তো বুদ্ধিমান মানুষ, খুব বুদ্ধি করেই বলেছেন, যাতে দেশে একটি সংকট তৈরি হয়। কার্যত সীমান্ত চালু নাই, শুধু পণ্য পরিবহন চালু আছে।’
লকডাউন শিথিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষের জীবন সংগ্রাম এবং একদিকে ঈদ, কয়েক কোটি মানুষ জীবিকার জন্য দোকানপাটের ওপর নির্ভর- এসব দিক সরকারকে বিবেচনায় রাখতে হয়।’