বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩৩৩ নম্বরে ফোন করলেই খাদ্য সহায়তা

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৫৬

প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস, চিড়াসহ বিভিন্ন পণ্য আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে।

কেউ খাদ্যকষ্টে থাকলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। জানিয়েছেন, করোনাকালে যে কেউ এই সহায়তার সুযোগ নিতে পারবেন।

রোববার সচিবালয়ে ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

করোনাকালে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়া হলো বিপাকে পড়া নিম্ন মধ্যবিত্তর জন্য গত বছরও কোনো কর্মসূচি নেয়া হয়নি। তবে হাত পাতার অভ্যাস না থাকা এই আর্থিক শ্রেণির বহু মানুষ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে বহুজনের। ফেসবুকে প্রায়ই এই শ্রেণির জন্য সরকারের কর্মসূচি কী, তা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে।

প্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার কেনা হয়েছে।

প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস, চিড়াসহ বিভিন্ন পণ্য আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে।

আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী কেনা হবে। সেই খাবার দিয়ে চলা যাবে আরও এক সপ্তাহের বেশি।

এখন পর্যন্ত কত সহায়তা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

এ ছাড়া ভিজিএফ এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে ৪৭২ কোটি টাকার। সিটি করপোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোট সিটি কর্পোরেশনগুলো ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছে। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনকে শিশু খাদ্য কিনতেও টাকা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে সহায়তার জন্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগন্ধীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

আমদানি, স্থানীয় ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে খাদ্য মজুদ স্বস্তিকর অবস্থায় আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ ও মজুদ রাখা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সবসময় মজুদ রাখা হয়। জেলা প্রশাসকরা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই টাকা তাৎক্ষণিক ব্যয় করতে পারেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কী করছে সরকার

এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য শিগগির ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর ও কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়, এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য এক কোটি সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর