আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য উমামা বেগম কনককে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী ওমর ফারুক।
জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওমর ফারুকের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ওমর ফারুককে রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পল্লবী থানার পুলিশ। এ সময় ওমর স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকলিমা বেগম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) বিচারক মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
উমামা বেগম কনক
এজাহার থেকে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ওমর ফারুকের নামে ফ্ল্যাট লিখে দেয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই একপর্যায়ে ধারালো বঁটি দিয়ে ওমর তার স্ত্রী উমামাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন ।
ওমর ফারুক ফ্ল্যাটটি তার নামে লিখে দেয়া নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে তার স্ত্রী উমামাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন । এরপর স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উমামার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার ভাইয়ের ছেলে রাজধানীর পল্লবী থানায় ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এরপর শনিবারই ওমর ফারুককে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বঁটি ও ফল কাটার চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বড় বোন রুমা আক্তার জানান, উমামার স্বামী ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি বেকার। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো। এর জেরে গত শুক্রবার রাতে ফারুক ধারালো অস্ত্র দিয়ে উমামাকে জখম করেন। পরে উমামা মারা যান।