বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার ভারত স্ট্রেইন ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:০৩

ভারতে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারে শনিবারই পরামর্শ দিয়েছিল দেশে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটি।

ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনার স্ট্রেইনের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কমিটি সরকারকে এই পরামর্শ দেয়ার পর দিনই সিদ্ধান্ত দিল সরকার।

রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আজ থেকেই সীমান্ত দিয়ে যাওয়া আসা বন্ধ থাকবে। এমনকি চলবে না সীমান্ত হাট।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া সিদ্ধান্তটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। যারা আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন বা এসে পড়বেন, তারা যশোর বর্ডার এবং বর্ডার এলাকায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। আজকেও যারা দেশে ঢুকবেন, তাদেরকেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’

রোববার থেকেই সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক চলাফেরা, যাতায়াত বন্ধ থাকবে।’

তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৪ দিন বন্ধ থাকবে সীমান্ত।

ভারতে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারে শনিবারই পরামর্শ দিয়েছিল দেশে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটি।

কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি।

‘ভারতসহ অন্য দেশ থেকে যারা আসছে যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশে এ ধরনের সংক্রমণ প্রবেশ করবে না।’

দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে বেশি। গত বছর দেশে যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছিল তার চেয়ে এই দুই ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। পাশাপাশি মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে, দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট এমনকি আইসিইউ লাগছে।

এর মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। টানা চার দিন সেখানে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগে কখনও বিশ্বে দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর