বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা সহায়তা পাবে সোয়া কোটি পরিবার

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৫৮

‘আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুতের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে কর্মহীন মানুষের জন্য মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

এর মধ্য দিয়ে ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি। সচিবালয়ে রোববার সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনে শিশু খাদ্য কিনতেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দকৃত এ অর্থের মাধ্যমে শিশু খাদ্য ক্রয় করে তা বিতরণ করা হবে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।’

অর্থ বরাদ্দের খাত প্রসঙ্গে এনামুর রহমান বলেন, ‘জিআর ক্যাশ দিয়েছি ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছি ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি করপোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোট সিটি করপোরেশনগুলো ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছি। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেয়া হয়েছে।’

করোনাসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের সব সময় অর্থ বরাদ্দ দেয়াসহ খাদ্য মজুত রাখা হয় বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, বি ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং সি ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সব সময় মজুত রাখা হয়।’

এই অর্থ জেলা প্রশাসকরা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সিটি করপোরেশনে দেয়া বরাদ্দ পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটা পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, যে সংখ্যক মানুষ কর্মহীন রয়েছে, সেখানে এই ৫০-৫৭ লাখ টাকা কোনো অঙ্কই না। মেয়ররা বলেছেন, ৫০ লাখ না দিয়ে যদি ৫ কোটি দেন, তাও এখানে কুলাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নগরের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন, নগরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা বিতরণ করুন। আবার চাহিদা পাঠান আমরা দেব।’

সম্প্রতি কর্মহীন মানুষের আর্থিক সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া হিট শকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মানুষের সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার কেনা আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস চিড়াসহ বিভিন্ন আইটেম আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে, যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণে শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনার কথা জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিআর বা কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’

কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান এনামুর রহমান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুতের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর