করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে কিনা তা ঠিক করতে সোমবার বসছে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। তাতে সিদ্ধান্ত হবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হবে, নাকি যে ব্যবস্থাপনায় চলছে তা চলমান থাকবে।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হচ্ছে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে। আর বাড়ানো হবে না লকডাউনের সময়সীমা। লক ডাউন উঠে গেলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আগের স্বাভাবিক নিয়মে ফিরবে কিনা তা নিয়ে এখনো কোনো সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। সেই সময় অন্যান্য আন্তজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি। এই প্রেক্ষাপটে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলার কথা থাকলেও পরে তা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকেই আন্তর্জাতিক সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ করা হয়।
চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। পরে প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আটটি দেশে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দেয় সরকার। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, চীন, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও বাহরাইন। ওমানের সঙ্গেও বাংলাদেশের ফ্লাইট চলাচল করছে না।
২১ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।
যাত্রী পরিবহনের জন্যও কয়েকটি এয়ারলাইন্স নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বেবিচক। এগুলো হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, জাজিরা এয়ার, চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি ও ফ্লাই দুবাই।