বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামুনুলের রিসোর্ট-কাণ্ড: ঝর্ণার বাবা ডিবির হাতে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৩৭

আলফাডাঙ্গা থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘ওলিয়ারকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। হয়তো ডিএমপির ডিবি পুলিশ তাদের মামলার তদন্তের স্বার্থে তার (ওলিয়ার) সঙ্গে কথা বলবে।’

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের একটি দল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলফাডাঙ্গা থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘ওলিয়ারকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। হয়তো ডিএমপির ডিবি পুলিশ তাদের মামলার তদন্তের স্বার্থে তার (ওলিয়ার) সঙ্গে কথা বলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার রাতে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি।’

ওলিয়ার রহমানের স্ত্রী শিরিনা বেগম জানান, ‘রাতে ওসি সাহেব ও থানার লোকজন এসে ওনাকে (ওলিয়ার রহমান) নিয়ে গেছেন। কী কারণে নিয়ে গেছেন জানি না।’

ওলিয়ার রহমান আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। ২১ এপ্রিল বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান বলেন, ‘ওলিয়ার সভাপতি থাকলে এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন আদর্শের হলে দলের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার কারণ দর্শানোর জবাব দলের হাতে পৌঁছায়নি।’

ওলিয়ারকে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, তার মেজো মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার স্বামী মামুনুল হক উগ্রপন্থি ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আর তার স্ত্রী জামায়াতপন্থি।

মামুনুলের রিসোর্ট-কাণ্ড

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৩ এপ্রিল দুপুরে র‌য়্যাল রিসোর্ট নামে একটি আবাসিক অবকাশ যাপন কেন্দ্রে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীকে নিয়ে সময় কাটাতে যান হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

মামুনুল ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও পরে পুলিশের জেরায় তিনি যেসব তথ্য দেন, তাতে অনেক গরমিল পাওয়া যায়।

রিসোর্টের সঙ্গীর নাম, তার বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানা নিয়ে দুই ধরনের তথ্যের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুকে ফাঁস হওয়া বেশ কিছু ফোনালাপ হেফাজত নেতার বিয়ের দাবির সত্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

ফোনালাপের একটিতে বোঝা যায়, ঘটনার পরপরই মামুনুল তার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, সেই নারী (ঝর্ণা) তার পরিচিত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার কারণে চাপে পড়ে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে যেন তার স্ত্রী ভুল না বোঝেন। পরে বাসায় এসে বুঝিয়ে বলবেন।

পরে আরেকটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যা মামুনুলের সঙ্গে তার রিসোর্টের সঙ্গীনির মধ্যকার বলে প্রতীয়মান হয়। সেখানে ওই নারী জানান, তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার মায়ের একটি বন্ধ মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। আর অন্য একজন যখন তাকে কোথায় বিয়ে হয়েছে জিজ্ঞেস করেছেন, তখন তিনি বলেছেন, এটা জানেন না। মামুনুলের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

আরও একটি কথোপকথনে বোঝা যায়, মামুনুলের বোন কথা বলেছেন হেফাজত নেতার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর সঙ্গে। তিনি তাকে বুঝিয়েছেন, কেউ যদি তাকে ফোন করে, তাহলে তিনি যেন বলেন, তিনি এই দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন এবং তার শাশুড়ি এই বিয়ের আয়োজন করেছেন।

এরই মধ্যে মামুনুলের রিসোর্টের সঙ্গীনির বড় ছেলে ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুলের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি তার মায়ের সঙ্গে বাবার সংসার ভাঙার জন্য মামুনুলকে দায়ী করেন।

এ বিভাগের আরো খবর