বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের নায়েবে আমির কাদের গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৩৭

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গ্রেপ্তার অভিযানে হেফাজতের যে নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আহমাদ আবদুল কাদেরই সংগঠনের সবচেয়ে বড় নেতা। এর আগে হেফাজতের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার হন। তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব ও সেক্রেটারি মামুনুল হকও।

এবার কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমাদ আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক খেলাফত মজলিসেরও মহাসচিব।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা।

তবে কোন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি জানাতে রাজি হননি তিনি।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন ও পুরাতন একটি মামলায় ডিবির তেজগাঁওয়ের একটি টিম সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় তাকে গ্রেপ্তার করে।’

তবে হেফাজতের যে নেতাদেরকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাইকে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে তাণ্ডবের পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের দিন থেকে হেফাজত কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গ্রেপ্তার অভিযানে হেফাজতের যে নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আহমাদ আবদুল কাদেরই সবচেয়ে বড়। সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর অবস্থানই কেবল নায়েবে আমিরের ওপরে।

হেফাজতের পদক্রমে আমির জুনায়েদ বাবুনগরীই কেবল আহমাদ আবদুল কাদেরের ওপরে আছেন

কাদের ছাত্র জীবনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ওই সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন। তবে আশির দশকে শিবিরে ভাঙনের পর তিনি কওমি ঘরনার দলের সঙ্গে মিশে যান।

এর আগে হেফাজতের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা গ্রেপ্তার হন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক।

শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব ও সেক্রেটারি মামুনুল হক। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সহকারী মহাসচিব, প্রচার বিভাগের নেতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকজন নায়েবে আমিরও গ্রেপ্তারের তালিকায় আছেন। হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীও একাধিক মামলার আসামি। সংগঠনের সাবেক আমির শাহ আহমেদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলাতেও সম্প্রতি তাকে আসামি করে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল বাবুনগরী এক বিবৃতিতে গ্রেপ্তারের তালিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকার এই তালিকা দিলে তিনি সবাইকে গিয়ে কারাগারে চলে যাবেন। পুলিশকে আর কষ্ট করতে হবে না।

গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম

তবে গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি সংগঠনের নেতাদেরকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে অভিযান বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাবুনগরীর বিবৃতির রাতে তিনি অন্য একটি বিবৃতিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আসুন এই পবিত্র রমজান মাসে গণ-গ্রেপ্তার বন্ধ করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজি। সমস্যা যত বড়ই হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান বের করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। হেফাজতের মধ্যেও যদি কেউ অপতৎপরতা চালায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেব ইনশাআল্লাহ।’

হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সমূহের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল বলে আমরা মনে করি।’

আগামীতে হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এসব ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকবে বলে অঙ্গীকারও করেন নুরুল ইসলাম।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম সাড়া পায়নি হেফাজত। বরং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকায় এটা স্পষ্ট যে, হেফাজত নিয়ে কঠোর অবস্থানেই সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর