করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দীর্ঘ মেয়াদি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব, রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ই-মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব।
নোটিশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, দেশ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রম করছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাস আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠেছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং শতাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস প্রতিনিয়তই তার রূপ পাল্টে নতুন নতুন রুপে আবির্ভূত হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে, করোনাভাইরাস শিগগিরই নির্মূল হচ্ছে না বরং এটি আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর স্থায়ী হতে পারে।
এ কারনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজন জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত পরিকল্পনা।
এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবনধারণের অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। সবাইকে মরনঘাতী ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এবং প্রত্যেক নাগরিকের এই টিকা পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার।
নোটিশে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পথ্য, ওষুধ, অক্সিজেন এবং ১৮ বছর বয়সী সব নাগরিকের জন্য পর্যাপ্ত টিকা ক্রয় করে তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।