ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের নাশকতায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে সংগঠনটির সমর্থক মো. নেয়ামতুল্লাহকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি এই আদেশ দেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজত।
নেয়ামতুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতের এসব সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলাতেই শুক্রবার নেয়ামতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তের স্বার্থে নেয়ামতুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ নুরুল্লাহ। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নেয়ামতুল্লাহ তার ‘পবিত্র সুর’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে পুলিশের ছবি ও চলমান হেফাজতের কার্যক্রম নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য লিখে ভিডিওসহ পোস্ট করে আসছিলেন।
এছাড়া, আসামি তার নিজের নামে ফেসবুক পেজ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মিথ্যা তথ্য সম্বলিত পোস্ট দিতেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়ানো, অপপ্রচার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন।
অভিযোগ আরও বলা হয়, তার এই ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ ছাড়া, তার পোস্ট ও ভিডিও অজ্ঞাতনামা অসংখ্য ফেসবুক আইডি দিয়ে শেয়ার করা হয়েছে।
এসব পোস্টে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী অনেক মন্তব্য রয়েছে। এ সকল বক্তব্যের ফলে দেশের সাধারণ জনগণ ও সম্পদের ব্যাপক হয়েছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিতের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। দেশকে সাম্প্রদায়িক সংকটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।