রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানশনে আগুনে দগ্ধ ভবনের নবদম্পতি আশিকুজ্জামান ও মুনা সরকার খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দুজনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, শুক্রবার সকালে ভর্তির পর থেকে তাদের আর জ্ঞান ফেরেনি।
তিনি বলেন, তাদের দুজনের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইসিইউতে আরও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্বজনরা নিউজবাংলাকে জানান, মুনা সরকার ও আশিকুজ্জামান দেড় মাস আগে বিয়ে করেছেন। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আশিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র।
আইসিইউতে থাকা বাকী দুজন হচ্ছেন, খোরশেদ আলম ও শাফায়েত হোসেন। খোরশেদের শরীরের ২২ ও শাফায়েতের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
সামন্ত লাল বলেন, এ ঘটনায় আরও ১৬ জন বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাদের কারো শরীর আগুনে না পুড়লেও ধোয়ায় শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের কাউকেই আশংকামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজি মুসা ম্যানশন নামের ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলার রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। সেই আগুনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। আগুনে দগ্ধ ও ধোঁয়ায় শ্বাসনালী পুড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।