বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শপিংমলে যেতেও লাগবে মুভমেন্ট পাস

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০৬

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকানপাট ও শপিংমল। বিকিকিনির সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মুভমেন্ট পাস নিয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। যারা ঘর থেকে জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন, তাদের আগের মতোই মুভমেন্ট পাস লাগবে।

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই আগামী রোববার থেকে খোলা হচ্ছে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে সেখানে যেতেও পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।

শুক্রবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মুভমেন্ট পাস নিয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। যারা ঘর থেকে জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন, তাদের আগের মতোই মুভমেন্ট পাস লাগবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকানপাট ও শপিংমল। বিকিকিনির সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, পূর্বে উল্লেখিত সুনির্দিষ্ট কিছু পেশার মানুষ ব্যতীত যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন, তাদের মুভমেন্ট পাস লাগবে।

আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থেকেও পুলিশি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রথম দিন থেকে এমন বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চিকিৎসক, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে যেসব পেশাজীবী তাদের বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়েই সড়কে চলাচল করতে পারবেন, তাদের নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, তারা হলেন চিকিৎসা, ব্যাংকিং, গণমাধ্যম, শিল্প কারখানা গার্মেন্টস ও উৎপাদন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি সেবা, টেলিফোন ইন্টারনেট ও ডাকবিভাগ, সরকারি কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এবং বন্দরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা-কর্মচারী।

জরুরি চলাচলের জন্য যারা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও বের হবেন, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। গত ১৩ এপ্রিল https://movementpass.police.gov.bd/ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মুভমেন্ট পাস নিয়েছে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৮ জন। এই হিসেব অনুযায়ী, গত সাত দিনে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ করে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হয়েছে।

এই বিপুলসংখ্যক মুভমেন্ট পাস ইস্যুর কারণে সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্য জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও মুভমেন্ট পাস নিয়ে অনেকে বাইরে চলাচল করছেন। এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা ব্যাহত হচ্ছে।

মার্চের শেষ দিকে এসে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিন বিধিনিষেধ আরোপ করে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে মহানগরগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। শেষ দিকে এসে সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত আসে।

পরে সরকারের সেই সিদ্ধান্ত আরও দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়।

কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।

কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে আরোপ করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। এর মধ্যে শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও, মানুষের জীবন-জীবিকার কারণে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর