বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারিতেও কক্সবাজারের পানে ছুটছে রেল

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০৮:৪৭

‘করোনা মহামারির প্রথম দিকে এই প্রকল্পের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে হলেও এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের রামু পানির ছড়া পর্যন্ত দৃশ্যমান প্রায় দুই কিলোমিটার। যা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ব্রিজ, কালভার্ট, আইকনিক স্টেশন, কিছু কিছু অংশে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।’

চলমান লকডাউনে কক্সবাজার অনেকটা থমকে দাঁড়ালেও চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে লাইনের পাশাপাশি নির্মাণ করা হচ্ছে ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং, হাইওয়ে ক্রসিং ও দৃষ্টিনন্দন ৯টি স্টেশন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর কাজ শুরু করতে গিয়ে পড়তে হয় নানা জটিলতায়। তবে সাত বছর পর ২০১৮ সালে শুরু হয় মাঠপর্যায়ের কাজ।

এরই মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৫৬ ভাগ।

প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য আরও ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

রেলওয়ে প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রথম দিকে এই প্রকল্পের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে হলেও এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের রামু পানির ছড়া পর্যন্ত দৃশ্যমান প্রায় দুই কিলোমিটার। যা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ব্রিজ, কালভার্ট, আইকনিক স্টেশন, কিছু কিছু অংশে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।’

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম ‘নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কক্সবাজারে ১৫টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে অন্যতম এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে ছয় লাখ মানুষ স্বল্প সময়ে কক্সবাজারে যাওয়া-আসা করতে পারবে। আর কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূর্ণ হবে।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পের কাজ দ্রুত চলছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এই রেলপথ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

কক্সবাজার-রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রাস্তা চার লেনে উন্নীত করা, কর্ণফুলী টানেলের পাশাপাশি রেললাইনের কাজ শেষ হলে কক্সবাজারে পর্যটক কয়েক গুণ বাড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর