বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরমানিটোলা রাসায়নিক গুদামে আগুনে নিহত ২

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০৬:৩২

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আরমানিটোলার একটি আবাসিক ভবনে রাসায়নিকের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মীসহ অন্তত ১৭ জন।

হতাহতের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।

নিহত দুইজনের একজনের নাম আক্তার সুমাইয়া আক্তার। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে চারতলায় থাকতেন। অচেতন অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুমাইয়ার পরিবারের অন্য সদস্যদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে।

রাজধানীর আরমানিটোলায় রাসায়নিক গুদামে আগুনে নিহত হন ইডেন কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার। ফাইল ছবি

নিহত অপরজন ভবনের দারোয়ান রাসেল মিয়া, তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া আহত সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন আর আগুন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা বা হতাহতের আশঙ্কা নেই। ভবনের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত খুঁজে দেখা হয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়া নেই। সবাইকে বের করে আনা হয়েছে।

আগুনের কারণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

রাজধানী ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজি মূসা ম্যানশন নামের ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলার রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, আগুনে মারা গেছেন এক নারী ও এক পুরুষ। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন ভবনের বাসিন্দা ও ৩ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।

ভবনের ভেতরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে মই দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। নিচতলা থেকে ধোঁয়া অন্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভবনের পাশের এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী বজলুর রহমান জানান, ভবনের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি জায়গায় সামনের দিকে বিকট শব্দ হয়। সামনে এসে দেখেন আগুন ধরে গেছে। তখন তিনি ও আরেকজন মিলে এই ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে একজনকে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর ভেতরের দিকেও আগুন ধরে যাওয়ায় তারা সেখান থেকে সরে আসেন।

এ বিভাগের আরো খবর