বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা ইউনিটের পিপিই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির হাতে, ঝুঁকি

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৪৪

‘এত বড় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নাজুক। সেখানে করপোরেশন বর্জ্য নিতে চাচ্ছে না বলে শুনেছি। তা ছাড়া যারা স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী করোনা ইউনিটে ব্যবহার করছেন, তাদের সেগুলো নিজ দায়িত্বে নষ্ট করা কিংবা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা দরকার।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই ও নানা সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে। এতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের পেছনে শহীদ আলমগীর সড়কে ওই ব্যক্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ব্যবহৃত সুরক্ষাসামগ্রী সঠিক স্থানে না ফেলায় ওই ব্যক্তি তা কুড়িয়ে পেয়েছেন। একটি পিপিই পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আরও কয়েকটি আছে তার হাতে।

শহীদ আলমগীর সড়কের হোটেল ব্যবসায়ী মো. রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, মেডিক্যাল কলেজটির করোনা ইউনিটের আশপাশে যেখানে-সেখানে পিপিই, গ্লাভসসহ নানা কিছু ফেলে রাখা হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি সেখান থেকেই একটি পিপিই নিজে পরেছেন এবং অনেকগুলো হাতে নিয়ে হাসপাতালের পেছনের ফটক থেকে বের হয়ে আলমগীর সড়ক হয়ে বাংলাবাজার এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে তো কিছু বলে লাভ নেই। যারা এগুলো ফেলছেন, তাদের সচেতন হওয়া উচিত।

গবেষক আনিসুর রহমান খান স্বপন বলেন, ‘এত বড় এই হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নাজুক। সেখানে করপোরেশন বর্জ্য নিতে চাচ্ছে না বলে শুনেছি। তা ছাড়া যারা স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী করোনা ইউনিটে ব্যবহার করছেন, তাদের সেগুলো নিজ দায়িত্বে নষ্ট করা কিংবা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা দরকার। তা না হলে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির মতো অনেকেই সেগুলো কুড়িয়ে নিতে পারেন। এতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। যতটা দরকার, ততটা করার চেষ্টা করছি আমরা।’

এ বিভাগের আরো খবর