নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর এবং মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় পুলিশের দুই মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক কাউছার আলম এর আদালেত এ জবানবন্দি দেন।
মাওলানা ইকবাল হোসেন হেফাজত ইসলাম সোনারগাঁ থানা শাখা কমিটির সহসভাপতি ও একই থানা খেলাফত মজলিসের সভাপতি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ এপ্রিল এই রিসোর্টে মামুনুল হক অবরুদ্ধ হন জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে। তবে তিনি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সঙ্গীনির নাম বলেন আমিনা তাইয়্যেবা।
জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এই নারীকে নিয়ে রিসোর্টে গিয়ে বিপাকে পড়েন মামুনুল হকবিষয়টি নিয়ে মামুনুল যখন বিব্রতকর অবস্থায় তখন তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। মসজিদে মাইকিং করে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে গিয়ে তারা হামলে পড়ে রিসোর্টে। ব্যাপক ভাঙচুর করে ছিনিয়ে নেয়া হয় মামুনুলকে।
- আরও পড়ুন: নারীসহ রিসোর্টে মামুনুল হক আটক
- আরও পড়ুন: মামুনুল বললেন নাম তাইয়্যেবা, নারী বললেন জান্নাত আরা
- আরও পড়ুন: কথিত স্ত্রীর নাম, বাড়ি, শ্বশুর কিছুই মেলে না মামুনুলের
হেফাজত কর্মীরা সেদিন হামলা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ছাত্রলীগ নেতার বাসভবন, যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
মামুনুলকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার সঙ্গীরা রিসোর্ট ছাড়াও ব্যাপক ভাঙচুর করে মহাসড়কেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও সুনামগঞ্জের ছাতকেও চলে সহিংসতা। এই দুই এলাকাতেও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চলে হামলা।
- আরও পড়ুন:রিসোর্ট-কাণ্ডের পর তাণ্ডব: সোনারগাঁয়ে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে আ. লীগ
- আরও পড়ুন: মামুনুলের রিসোর্ট-কাণ্ড: সাংবাদিকের বাড়িতে হেফাজতের হামলা
সোনারগাঁ তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজত, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর দুটি মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মাওলানা ইকবাল হোসেনকে।
হেফাজত কর্মীরা সেই রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়, যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতেও হামলা চালায়গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ১২ এপ্রিল দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেদিনই আদালত ইকবালকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হলে তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হন।