বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ প্রস্তাব

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৩

জলবায়ুর বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলায় চার দফা প্রস্তাবের একটিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জাতিগুলোর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর দিয়ে বৈশ্বিক তহবিলের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিশ্চিত করতে হবে এবং অভিযোজন ও প্রশমনে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মুখে থাকা রাষ্ট্রগুলোর জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল নিশ্চিত করাসহ চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে আয়োজিত জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব প্রস্তাব দেন তিনি।

বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে এই জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বাইডেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার পর এই আয়োজন অন্যরকম বার্তা বহন করছে। সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে উন্নত দেশগুলোকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ যেকোনো বৈশ্বিক সমস্যা ঐক্যবদ্ধভাবেই সমাধানের কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সিওপি এবং সিভিএফের সভাপতি হিসেবে আমি কয়েকটি পরামর্শ দিতে চাই।’

প্রস্তাবগুলো:

০১. বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাৎক্ষণিক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই প্রশমন প্রক্রিয়ায় দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

০২. ক্ষতিগ্রস্ত জাতিগুলোর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর দিয়ে বৈশ্বিক তহবিলের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিশ্চিত করতে হবে এবং সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

০৩. জলবায়ু বিষয়ক অর্থায়নে প্রণোদনা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে মুখ্য অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

০৪. সবুজ অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তিতে দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি তা জাতিগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বল্প সম্পদের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। প্রতিবছর আমরা জলবায়ু অভিযোজন এবং সহনশীলতা তৈরিতে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, যা আমাদের জিডিপির ২.৫ শতাংশ, খরচ করে আসছি।

‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি, এতে আমাদের অবস্থা আরও সঙ্গীন করে তুলেছে। বাংলাদেশ এখন কম কার্বন উৎপাদনের পথে হাঁটছে।’

এ সময় জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে মুজিব বর্ষ পালন করছে। সারা দেশে আমরা ৩ কোটি গাছের চারা রোপণ করছি এবং কম কার্বন উৎপাদন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান গ্রহণ করেছি।

‘ভি টুয়েন্টি ও ক্লাইমেট ভলনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মুল লক্ষ্য জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর স্বার্থ তুলে ধরা। আমরা গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশনের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয় নির্মাণ করছি যা স্থানীয় অভিযোজন সংক্রান্ত বিষয় সমাধান করবে।’

প্যারিস জয়বায়ু চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিনন্দনও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টি দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভার্চুয়াল এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।

এ বিভাগের আরো খবর