অমুক্তিযোদ্ধা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার বন্ধ ভাতা চালু সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির সময় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা এ বিষয়ে কথা বলেন।
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার (সবশেষ) লিষ্টটাও যে সঠিক তাও এখন বলা যাবে না। কারণ এখান থেকেও তো কিছু আবার মিস্টেক (ভুল) বের হতে পারে।’
এ সময় বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘বয়সের গণ্ডগোল পাকিয়ে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের হ্যারাস করা হচ্ছে। আমার সাথে ৯ বছরের একটি ছেলে যুদ্ধে যুক্ত ছিল। সে আমাদের খাবার এনে দিত। তার মা রান্না করে ছেলেকে দিয়ে আমাদের বাংকারে খাবার পাঠাত।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় দিছে এক মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন তার বয়স হচ্ছে ১১ বছর। এই মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়া জেনুইন ৬০/৭০ বছরের মুক্তিযোদ্ধাদের হ্যারাসমেন করা হচ্ছে।’
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১১ বছর বয়সী লালুকে কোলে নিয়ে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেটা নিজে করে দিয়ে গেছেন এখন মুক্তিযোদ্ধারা কী করবেন।’
২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং সরকার অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই-বাছাই করেই ভাতাপ্রাপ্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সরকারের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে তোলা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে জেলা প্রশাসনের তালিকার ভিত্তিতেই ১ লাখ ৯২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা পাঠানো হত। কিন্তু এমআইএসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর সংখ্যাটি হঠাৎ তাদের সংখ্যা ২১ হাজার কমে ১ লাখ ৭১ হাজার হয়ে যায়।