আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর প্রয়াণের পর কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসন শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়।
সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত বুধবারের এক গেজেটে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
সংবিধান অনুযায়ী শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন।
শূন্য ঘোষণার আগে থেকেই কৌশলে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন আসনটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শোক ছাপিয়ে এখন আলোচনা চলছে কুমিল্লা-৫ আসনে কে হবেন মতিন খসরুর উত্তরসূরি।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সরব প্রচারণা।
কৌশলী প্রচারে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় উত্তাপ তৈরি করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদের সমর্থনে সরব নেতাকর্মীরাও।
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ঘুরে ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমপি আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরুসহ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সংসদীয় আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সেলিমা সোবহান খসরু জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাকে তিনি সাধুবাদ জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনীত করলে স্বামীর আসনে নির্বাচন করবেন।
তবে এই মুহূর্তে স্বামীর স্মৃতি নিয়েই থাকতে চান বলে জানান সেলিমা খসরু।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মতিন খসরুর অন্যতম রাজনৈতিক সহকর্মী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে রাজনীতি করছি। খসরু ভাই আমার রাজনৈতিক গুরু। তিনি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার জন্য কাজ এনেছেন। আমি সেটি বাস্তবায়ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা চায় আমি নির্বাচন করি। দল মনোনয়ন দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব।’
প্রার্থিতার দৌড়ে আছেন মতিন খসরুর স্নেহভাজন ও সোনার বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবু সালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ।
তিনি বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করছেন৷ কেন্দ্রীয় নেতারা আমার বিষয়ে খুবই ইতিবাচক।’
সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীদের একাংশ।
এ ছাড়া অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন যুবলীগের সহসম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমী, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল হাসেম খান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস সালাম বেগ, প্রয়াত মতিন খসরুর সহোদর কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন ফেরদৌস, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, কুমিল্লা জেলা পরিষদের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সদস্য তারিক হায়দার, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিকসহ অনেকে।