আট বছর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে তাণ্ডব ও সহিংসতায় হেফাজতে ইসলামের দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আদেশ দিয়েছে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালত (সিএমএম)।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব, ঢাকা মহানগর সহসভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির খোরশেদ আলম কাসেমীকে সাত দিন এবং সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক শারাফাত হোসাইনকে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. সোলাইমান এ তথ্য নিউজজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কাসেমীকে ও বুধবার শারাফাতকে কাফরুল থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
সেই সহিংসতা মামলার পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে দিনভর তাণ্ডবের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি।
বৃহস্পতিবার কাসেমী ও শারাফাতকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ২০১৩ সালে পল্টন থানায় করা সহিংসতার মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে ডিবি।
আসামির পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করেন।
পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার সিএমএম হাকিম বাকী বিল্লাহ জামিন আবেদন নাকচ করে কাসেমীকে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিন ও শারাফাতকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংগঠনটির অন্তত ১৫ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।