হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে করা নাশকতার ১৬টি মামলার তদন্তভার পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, গত ২৬ মার্চ ও এর পরবর্তী সময়ে হেফাজতের সহিংসতায় সারা দেশে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো থেকে ১৬টির তদন্ত পিবিআইকে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় এসব মামলা হয়েছে বলে জানান বনজ কুমার।
মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আলামত ও সাক্ষ্য সংগ্রহে তদন্ত কর্মকর্তাদের একটি গোপন গাইড লাইনও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনজ কুমার।
তিনি বলেন, নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে এবং নিরীহরা যাতে কোনোভাবে না জড়িয়ে যায়, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এ ঘটনার পর থেকে সরকারের সঙ্গে হেফাজতের দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিভিন্ন মামলায় গত কয়েক দিনে গ্রেপ্তার হয় ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা। ১৮ এপ্রিল দুপুরে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে।
ঢাকা থেকে বুধবার হেফাজতের সহকারী মহাসচিব খুরশিদ আলম কাশেমীকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এবং যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক শারাফাত হোসাইনকে কাফরুল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আর খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে হেফাজতের শীর্ষ ১৫ নেতা গ্রেপ্তার হলেন।
চলমান গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার আশায় ১৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। তাদের কয়েকজন বৈঠক সফল হয়েছে বলেও জানান।
কিন্তু বৈঠকের পর এই কয়েক দিনে আরও কয়েক জন নেতাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।