ভারত থেকে করোনাভারাসের টিকার নতুন চালান আসা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশে দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে ভারত নিজেই ভ্যাকসিন সংকটে আছে। তবে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে, শিগগিরই বাংলাদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করা হবে।’
ভারতে চারদিন ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দোরাইস্বামী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দুই দেশ খারাপ সময় পার করছে। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত আছে। ভ্যাকসিনের জন্য দুই দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়বে না।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এ কারণে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশি ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি আছে। চুক্তি অনুযায়ী ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি টিকা ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করা হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনারকে দুই দেশের শূন্যরেখায় স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে এ আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গত ১৮ মার্চ আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ঢাকা থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন দোরাইস্বামী।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছর নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ৪২ লাখ টিকা রাখা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮০টি দেশও সিরাম উৎপাদিত টিকা পাবে, কিন্তু রপ্তানি স্থগিত হওয়ায় এসব দেশও টিকা পাচ্ছে না।