বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলির ঘটনায় নিহত বেড়ে ৭

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০

ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন,বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে সংঘর্ষের ঘটনায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের জামদানি গ্রামের রাজিউল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের গুলির ঘটনায় আরও একজন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাজিউল ইসলাম নামে ওই শ্রমিক চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে সোমবার গভীর রাতে মারা গেলেও বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়েছে।

রাজিউল ইসলাম দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট জামাদানি গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে নিহত রাজিউলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চমেক হাসপাতালে শিমুল আহমেদ নামে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের ওপর পুলিশের গুলির ঘটনায় সাতজন শ্রমিকের মৃত্যু হলো।

ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের জামদানি গ্রামের রাজিউল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে।

রাজিউলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবীরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিমকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

রাজিউলের বাবা আব্দুল মান্নান মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিল। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে সোমবার রাতে আমার ছেলে মারা যায় ‘

শনিবার সকালে বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে সেদিন পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ৫০ জন।

বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো ও এইচটিজির মধ্যে চুক্তি হয়। ২০১৭ সাল থেকে গণ্ডমারা এলাকায় প্রায় ছয় শ একর জমিতে আড়াই শ কোটি ডলার ব্যয়ে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।

চুক্তি হওয়ার পর থেকেই গ্রামবাসীদের একটি পক্ষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করেন পরিবেশ দূষিত হওয়ার কথা বলে। আরেকপক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষ নেয়।

এর জেরে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তখন নিহত হন চার গ্রামবাসী। আহত হয় পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন। এ ঘটনার পাঁচ বছর পর ফের হতাহতের ঘটনা ঘটল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর