শেরপুরে জেলা সদর হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আরেক ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সামনের রাস্তা প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শতাধিক ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্ত্যক্ত ও মারধরের ঘটনায় আরাফাত নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টরা জানান, সাইক মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের ম্যাটসের শিক্ষার্থী পপি আক্তার জেলা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। শহরের নারায়ণপুর এলাকার আরাফাত নামে এক যুবক পপিকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় আজ দুপুরে পপির বন্ধু নাজমুল ইবনে হাফিজকে পিটিয়ে আহত করেন আরাফাত, হালিম ও রনিসহ কয়েকজন।
প্রতিবাদে পপির সহপাঠীরা জেলা সদর হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযান চালিয়ে উত্ত্যক্তকারী আরাফাতকে আটক করে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী পপি জানান, আরাফাত আমাকে ফোন করে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আমি তাকে বলেছি, আমার বিয়ে হয়েছে। তারপরেও সে আমাকে বিরক্ত করে আসছিল। শুধু তাইও নয় সে আমাকে হুমকিও দেয়।
তার সহপাঠী নাজমুল ইবনে হাফিজ জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যারকে জানানোর পর স্যার পুলিশকে জানান। এ কারণে আরাফাত ও তার বন্ধুরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিচার দাবি করেছি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) খায়রুল কবীর সুমন জানান, বিষয়টি আগেও একবার পুলিশকে জানিয়েছি। আজকের এ ঘটনায় পুলিশ সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করছি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আরাফাতকে আটক করেছি। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।