নাশকতার তিন মামলায় কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের দুই শীর্ষ নেতাকে তিন মামলায় এবার ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি মামলায় তাদেরকে সাত দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তিনটি মামলায় হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে ১০ দিন করে হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
বুধবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হামিক আদালতের হাকিম মামুনুর রশিদের এজলাসে এই শুনানি হয়।
হেফাজতের এই দুই নেতাকে এর আগেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার এই আদেশ দেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে দিনভর তাণ্ডব ও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মতিঝিল এলাকায় নাশকতা ও ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের করা একটি করে মামলায় আবার রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মুফতি রাজীকে আর রাতে অন্য একটি দল মাওলানা আফেন্দীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদেরকে আদালতে তোলা হয়।
এই দুই নেতা ছাড়াও বুধবার পর্যন্ত হেফাজতের মোট ১৪ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত আদালতে তোলা ১২ জনের সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অথবা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে রাজপথে নেমে নাশকতায় জড়ানোর ঘটনায় হেফাজতের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলার পাশাপাশি ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর ২০১৩ সালের মে মাসে শাপলা চত্বরে ত্রাসের মামলাগুলোও নতুন করে চালু হয়েছেল।